সিনিয়র গুন্ডি মেয়ে:৬
রুহি মিরা আপুকে কল দেওয়ার সাথে সাথে কল রিসিভ করলো।
মিরা,,,,কে বলতেছেন
রুহি,,,আমি রুহি আপু
মিরা,,ওহ কেমন আছো
রুহি,,,,ভালো আপু তুমি কেমন আছো।
মিরা,,,ভালো নেই ।
রুহি,,, কেনো আপু?
মিরা,,তুমার ভাইটার জন্য
রুহি,,,আমার ভাইয়া কি করছে আপু।
মিরা,,,আজকে আমার থেকে ঐ ফোসকা খাওয়ার প্রতিশোধ নিছে।
রুহি,,,হা হা হা কতো টাকা খাইছে আপু
মিরা,,,দশ হাজার টাকা।
রুহি,,,,কিহ ও এতো টাকা কিভাবে খেলো।
মিরা,,,সাথে আরো সাত জনকে আনছে।
রুহি,,,কুওা। আমি জানতাম আপু। ওর থেকে কেও এক টাকা কসাইতে পারে না। আর আপনিতো আড়াই হাজার টাকা খাইছেন।আপনাকে ছাড়বে নাকি।
মিরা,,,আচ্ছা বাদ দাও আর এটা তোমার নাম্বার নাকি।
রুহি,,,না আপু, সোহান ভাইয়ের
মিরা,,,ওহ।
রুহি,,আচ্ছা আপু বাই।
মিরা,,,,রুহি শুনো।
রুহি,,কি আপু।
মিরা,,,তুমার ভাইয়ার গার্লফ্রেন্ড আছে নাকি,,,
রুহি,,হঠাৎ এই কথা জিজ্ঞেস করছেন কেনো আপু।
মিরা,,,না মানে এমনে জিজ্ঞেস করছি।
রুহি,,,নাই আপু। আমার ভাইয়া একদম পিউর সিঙ্গেল। আর অনেক ভালো ও।
মিরা,,,,হুম জানিতো কতো ভালো। ভাইয়ের জন্য আর সাপাই দিতে হবে না আমি জানি ও কতো বড় সয়তান।
রুহি,,,,আমার ভাই মোটে ও সয়তান না।
মিরা,,,আচ্ছা বলতে হবে না আর। আর কালকে অবশ্যই তোমার ভাইকে নিয়ে। আমাদের বাড়ি চলে আসবে।
রুহি,,,ওকানে কি আপু।
মিরা,,,তুমার ভাইয়ের থেকে জিজ্ঞেস করিও। আচ্ছা বাই রুহি আমার অনেক কাজ আছে।
রুহি,,ওকে বাই
,,,,,,
আমি বিকালে ঘুম থেকে উঠে। এরপর ফ্রেশ হয়ে বাইরে গেলাম। রোহানকে কল দিলাম।
আমি,,,দুস্ত কোথায় তুই।
রোহান,,কই থাকবো আর বাড়িতে আছি।
আমি,,,আমাদের খেলার মাঠে আয়।
রোহান,,কি আজকে খেলা খেলবি নাকি।
আমি,,,আগে তুই আয় তারপর দেখা যাবে,, খেলবো নাকি খেলবো না।
কিছুহ্মন পর রোহান আসলো। এসে আমার কাদেঁ হাত রাখলো।
রোহান,, কিরে দুস্ত আজ হঠাৎ করে তুর কি হলো।
আমি,, সত্যি বলতে ভাই একটা কথা জিজ্ঞেস করার জন্য ডাকছি তুকে।
রোহান,,,কি শালা এতো দূর থেকো ডেকে আনলি একটা কথা জিজ্ঞেস করার জন্য
আমি,,হুম
রোহান,,আচ্ছা বল কি কথা
আমি,,,কালকে কি মিরা আপুর জন্মদিনে যাবি।
রোহান৷,,, ভাই ঐ মেয়ে যে রখম গুন্ডি। যদি আমরা না যায়। সত্যি সত্যি যদি কলেজে গিয়ে পিঠায়।
আমি,,,,আমার ও ভয় লাগে উনাকে।
তাই বলছি চল।
রেহান,,,ওকে দুস্ত ঠিক আছে তাহলে আমরা যাচ্ছি।
আমি,,,ওকে
রোহান,,,ক্রিকেট খেলবি।
আমি,,,দূর ভাই কখন ছোট থাকতে খেলছি। ভুলে গেছি সব। আমি বাড়ি যাচ্ছি।
রোহান,,আচ্ছা যা
রোহানকে বাই জানিয়ে আমি ওখান থেকে বাড়ি চলে আসলাম। এসে দেখি আব্বু আসছে অফিস থেকে। আর সবাই মিলে আড্ডা দিচ্ছে। আমি ও গিয়ে ওদের সামনে বসলাম।
আব্বু,,, কোথায় গিয়েছিলি
আমি,,এইতো একটু বাহিরে। তো আব্বু কখন আসছো
আব্বু,,,আমার আর আসা। অফিসে এতো কাজ। তুকে বলছি তুই আমার সাথে অফিসে আয়। সব কিছু শিখে নে। আমি না থাকলে তখন পারবি সব কিছু একা সামলাতে।
আমি,,,,আরে তুমি কোথায় যাবে বলো। আমরা যেহেতু আছি। তাই আমাদের ছেডে কোথাও যেতে পারবে না। আর আব্বু অনার্সটা শেষ করি এরপর দেখবো।
আব্বু,,,,বাবা আমি ইন্টার দেওয়ার পর। তুর দাদার সাথে অফিস সামলায়ছি। আর তুইতো এখন অনার্স সেকেন্ড ইয়ারে।
আম্মু,,,ছেলেটা এখন যেহেতু পারবে না ওকো জোর করিও নাতো আর।
আব্বু,,, হুম
এরপর আব্বু আম্মুর সাথে গল্প করে রুমে গেলাম। গিয়ে মোবাইলটা নিয়ে কিছুহ্মন গেম খেললাম।
এরপর মোবাইলটা রেখে ওয়াশ রুমে যাবো ওমনি কেও একজন ফোন দিলো। আমি গিয়ে রিসিভ করলাম।
আমি,,আসসালামু আলাইকুম
অচেনা,,,ওয়ালাইকুম সালাম। কেমন আছো সুহান
আমি,,,,জ্বি ভালো আপনি কেমন আছেন
অচেনা,,,ভালো। কি করো
আমি,,আপনি কে?
অচেনা,,আমি হলাম মানুষ
আমি,,,ওটা জানি আপনার নাম কি ওটা বলেন।
অচেনা,,,সময় হলে জানবে আমি কে।
আমি,,,তাহলে সময় হলে কথা বলবো বাই,,,,
এটা বলে ফোন কেটে দিলাম। এরপর দেখি আবার কল দিলো। কিন্তুু আমি দরলাম না। আমি ওয়াশ রুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে আসলাম। এসে দেখি ২০ বার এর উপরো ফোন দিছে। আমি ওসব পাত্তা না দিয়ে। গায়ে কম্বল মুডে শুয়ে শুয়ে গল্প পড়তে লাগলাম।
হঠাৎ দেখি ঐ নাম্বার থেকে আবার কল আসলো। এবার মাথায় রাগ উঠে গেলো।
আমি,,,এই কে আপনি এতো বার কল দিচ্ছেন কেনো।
অচেনা,,,,কুওা তুই যদি আরেকবার ফোন কাটিস আমি সুজা তুর রুমে চলে আসবো।
এই কথা শুনে আমি তারাতাডি নাম্বার চেক করে দেখলাম চিনি কিনা। কিন্তু না। তবে এই কন্ঠ টা খুব চেনা চেনা লাগতেছে।
আমি,,,আপনি কে আপু
মিরা,,,আমি মিরা কুওা
আমি,,,ওহ মিরা আপু নাকি সরি আপু আমি ছিনতে পারি নাই
মিরা,,,আমি তুর কোন জন্মের বোন লাগি বল।
আমি,,,মানে,
মিরা,,,আমি তুর কোন দিক দিয়ে বোন লাগি যে সবসময় বোন বোন করিস।
আমি,,,আপনি আমারবসিনিয়র সেই হিসাবে
মিরা,,,এতো হিসাব করতে হবে না তুর। আর আমাকে আপু বলবি না মিরা বলবি।
আমি,,,কি বলেন আপু। নাম দরে ডাকবো। এটা আমাকে সম্ভব না।
মিরা,,, কুওা তুই সুজা কথা শুনবি না। তুকে কিভাবে কি করতে হবে আমার ভালো জানা আছে।
আমি,,,আ,আপু কি করবেন
মিরা,,,আদর করবো। আসবো নাকি আদর করার জন্য
আমি,,,আদর কিভাবে করে আপু।
মিরা,,,কুওা আমার সাথে ফাজলামি। তুকে একবার পাই শুধু। আদর কিভাবে করে দেখাবো।
আমি,,এই না না আপু দুষ্টামি করলাম। আমার আদর লাগবে না।
মিরা,,,ডিনার করছিসতো
আমি,,না আপু,
মিরা,,আবার আপু ,, কুওা আমি যদি তুর কাছে থাকতাম কিযে করতাম তুই ভাবতে ও পারতি না।
আমি,,,আচ্ছা আপু বাই। আম্মু খাবার খেতে ডাকতেছে
মিরা,,,ওকে।
সত্যি বলতে কখন যে রাত হয়ে গেলো আমি নিজেই বুঝতে পারিনি। কারন আমার রুমের জানলা বন্ধ থাকে। আর ঘরের লাইট গুলো সবসময়ই অন করে রাখি।
মোবাইলটা বিছানার উপর ফেলে। আমি বিছানা থেকে উটলাম। পিছনে দেখি রুহি,
আমি,, কিরে তুর আবার কি হলো এমন মূর্তি মতো খাড়া হয়ে দাড়িয়ে আছিস কেনো,,,,
রুহি,,,কার সাথে কথা বললি এখন।
আমি,,,তুকে কেনো বলবো?
রুহি,,আব্বুকে বলবো তুই মেয়ের সাথে কথা বলিস।
আমি,,,কুওি আমি মিরা আপুর সাথে কথা বলছি।
রুহি,,,এই কথাটা সোজাসুজি বললে কি হতো।
আমি,,,তুর জন্য একটা প্রেম ও করতে পারলাম না। কুওি তুর মতো এমন দজ্জাল বোন আর কারো জেনো না হয়।
রুহি,,আমি দজ্জাল
আমি,,,হুম
রুহি,,,দারা এখনি ফোন করছি মিরা আপুকে,,
আমি,,,এই এই তুই মিরা আপুকে ফোন করে কি বলবি
রুহি,,কি আর উল্টা পাল্টা বলবো। বলবো তুই ওনাকে ভালোবাসিস।
আমি,,,আমার লহ্মি বোন এটা কি বলিস তুই। আমার মতো এমন নিষ্পাপ ছেলে এমন কথা বলতে পারে।
রুহি,, তুই বলিস নি ওটা আমি জানি মিরা আপুতো আর জানে না। তাই বলছি দারা ফোন করি।
আমি,,,তুই আমার মা লাগিস বোন এমন কাজ করিস না। আর মিরা আপু আমার সিনিয়র তুই এগুলো কি বলিস।
রুহি,,,,কোথায় সিনিয়র চার পাচঁ বছরের বড হবে। এগুলো সামান্য
আমি,,, পাচঁ বছরের বড় ওটা তুর সামান্য মনে হয়
রুহি,,তা নাহলে কি।
আমি,,,আমার সামনে থেকে যাতো। তুর সাথে কথা বললে পাগল হয়ে যাবো।
রুহি,,,,আম্মু তুকে খাবার খেতে ডাকতেছে।
আমি,,,,আমি আসছি তুই যা।
রুহি,,,তুকে সাথে নিয়ে যাবো
আমি,,,তুই কিসে পড়িস আর আমি কিসে পড়ি একটু ভেবে দেখতো।
রুহি,,,কেনো। আমি ইন্টার সেকেন্ড পড়ি আর তুই আমার দুই ক্লাস সিনিয়র।
আমি,,,তুর কথায় মনপ হয় আমি তুর জুনিয়র।
রুহি,,,তা নয়তো কি।
আমি,৷ আচ্ছা চল পাগলি আর মুখটা বন্ধ কর।
রুহি,,,করবো না
আমি,,জানি তুই এটা বলবি। এখন চল।
এরপর নিছে গিয়ে ডিনার করলাম। এরপর রুমে এসে একটা আরামে ঘুম দিলাম। কতহ্মন ঘুমাইছি জানি না। তবে এখন দেখি রুহি ডাকছে।
রুহি,,,,ভাইয়া উট
আমি,,,আরেকটু ঘুমাই বোন প্লিজ এখন যা না
রুহি,, এখন দশটা বাজে। তারপর ও বলিস আরেকটু ঘুমাইতে
আমি,,হুম এখন যা
রুহি,,,তুই উটবি নাকি আমি পানি নিয়ে আসবো।
আমি,,,না এই ঠান্ডার মধ্যে পানি দিছ না। উঠে গেছি।
রুহি,,,,যা এখন গিয়ে ফ্রেশ হয়ে নিছে আস আম্মু নাস্তা রেডি করে তুর জন্য বসে আছে।
আমি,,, ওকে যা আমি আসছি।
এরপর ফ্রেশ হয়ে নিছে গেলাম। গিয়ে দেখি রুহি আম্মুকে কি জেনো বলছে।আমি গিয়ে চেয়ারে বসলাম।
আম্মু,,,এতহ্মনে তুর ঘুম ভাংলো
আমি,,,না আরো পড়ে ঘুম ভাংতো কিন্তু তুমার এই পেত্নী মেয়ে আমাকে ঘুমাতে দেই নি।
আম্মু,,ভালো করছে। এখন নাস্তা শেষ করে রুহিকে নিয়ে শপিং এ যা।
আমি,,,কিসের শপিং ও কিছুদিন আগে না শপিং করছে।
রুহি,,দেখছো আম্মু কি বলতেছে।
আম্মু,,,তুকে এসব ভাবতে হবে না। ওকে নিয়ে শপিং এ যাবি ব্যাস।
আমি,,,হুম।ওকে বিয়ে দিয়ে দাও মা।
রুহি,,,, কুওা মাইর ছিনস। এই কথা যদি আবার শুনি তাহলে দেখবি এই রুহি কি জিনিস
আমি,,দেখছো মা বড় ভাই য়ের সাথে কিভাবে কথা বলছে।
আম্মু,,, তুই ও কম না কোনোদিকে।
এটা বলে আম্মু চলে গেলো। আমি নাস্তা শেষ করে। রুহি ডাক দিবো ওমনি।
রুহি,, আমি হাজির এখন চল
আমি,,,কুওি তুর জালাই ইচ্ছে করে চান্দের দেশে চলে যা।
রুহি,,,আমাকে ও সাথে নিয়ে যাস কেমন
আমি ওর দিকে তাখিয়ে আছি। কি বলবো ওকে। ওর দুঃখে আমি চান্দে যেতে চায়। আর ও বলে ওকে ও সাথে নিয়ে যেতে। কোথায় যায়,,,আপনারাই বলেন,,,
রুহি,,,এরকম করে তাকাছ কেনো। চোখ উপড়ে ফেলবো কুওা।
আমি,,,মাফ চাই বড় আপু। এখন চল।
রুহি,,,হুম আমার বর্ডি গার্ড এর মতো থাকবি। ঠিক ভাবে দায়িত্ব পালন করবি।
আমি,,তার বদলে কি পাবো শুনি।
রুহি,,,কিছু না।
আমি,,কুওি গাড়িতে বস।
রুহি,,, হুম
এরপর দুজনে গাড়ি বসে। শপিংমলে চলে গেলাম। রুহি কোথাও গেলে। আমাকে সাথে যেতে হয়। যদি অসুস্থ থাকি তাহলে ও গাড়ি চালাবে। তারপর ও আমাকে নিয়েই জাবে।
রুহি,,,এরকম হা করে তাকিয়ে আছিস কেনো।
আমি,,,কিছু না বোনো চল।
রুহি,,,ঐ তুকে না বলছি গার্ড এর মতো পিছন পিছন আসবি।
আমি,,,মাপ কর বোন। বাইরে এরকম করিস না সবাই আমাকে চিনে এখানে। তুইতো জানিস
রুহি,,,আচ্ছা আচ্ছা ভাইয়া চলেন।
আমি,,এরকম করে ডাকতে পারস না।
রুহি,,,না।
আমি,,,আচ্ছা চল ,, যেখান থেকে সবসময়ই নিস ওটাতে যাবি নাকি।
রুহি,,,না
আমি,,,কেনো?
রুহি,,,তুই ভালো জানিস আমার থেকে।
আমি,,আচ্ছা চল এবার। দামি কাপড় দেখাতে বলবো।
রুহি,,সত্যি তো
আমি,,পাক্কা
রুহি,,ওকে চল।
আসলে আমি যতো বার রুহিকে নিয়ে আসি ততোবার আমার বন্ধুর দোকানে নিয়ে আসি। আর এই শপিং মল টা হলো রোহানের আব্বুর। আমি সাথে আসলে আগে বলে রাখি যেনো রুহিকে বেশি দামি ওলা কাপড় না দেখাই। কারন ও এক সাথে পাচঁ ছয় টা নেই। আমার বেলাই নিতে গেলে এক প্যান্ট একটা শার্ট নিতে দিবে শুধু। তাই আমি দোকান দারদের বলে দিছি কম দামি কাপড দেখাতে। তবে একদিন রুহি ওর ফ্রেন্ড দের সাথে আসছে। কেমনে কেমনে। আমার এই কান্ড টা জেনে গেছে। তাই আর কি আগে থেকে বলে রাখছে।
এরপর রুহিকে নিয়ে দোকানে ডুকলাম।
আমি,,,ভাই ভালো থেকে কাপড় দেখান।আগের থেকে উন্নত মানের।
ভাই,,ওকে।
রুহি কাপড নেওয়া শেষ হলে আমি বিল প্রেমেন্ট করে দোকান থেকে বের হয়ে যেতে। হঠাত একটা জিনিসের ওপর চোখ আটকে গেলো।
,,
চলবে,,,,,
,,,
Comments
Post a Comment