সিনিয়র গুন্ডি মেয়ে:৪



রুহি,,,আম্মু আজ কি হইছে বলবো। 


আম্মু,,,বল 


রুহি,,,, আজকে একটা কিপটা মানুষের থেকে ফোসকা খাইছি। তা ও জোর করে। 


আম্মু,,,ভালো করছিস। আর মানুষটা কে 


রুহি,,,,আমাদের সামনে যে দাঁড়িয়ে আছে সে। 


আম্মু,,,আমার ছেলে কিপটা নাকি। 


রুহি,,,,তা নাহলে কি কেনোদিন একটা চকলেট ও আমার জন্য আনেনি। 


আম্মু,,,মোটে ও আমার ছেলের নামে বদনাম করবি না৷ 


আমি,,, হুম আম্মু তুমার কুড়িয়ে পাওয়া মেয়েকে একটু বলো আমি কেমন।


রুহি,,,আমি কুড়িয়ে পাওয়া মেয়ে না তুকে পেয়েছে 


আমি,,,,হা,,, একটু আগেতো শুনলি আম্মু কার দিকে কথা বলছিলো। হা হা হা 


আম্মু,,,এই তুরা ঝগরা করতেছিস কেনো। যা রুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে আয়,


আমি,,যাচ্ছি আম্মু তুমি খাবার রেডি করো 


আম্মু,,,খাবার আগে থেকে রেডি করে রাখছি তুই আস 


আমি,,,আচ্ছা  


এরপর আমি ওয়াস রুমে গিয়ে। গোসল করে আসলাম। কাপড় চোপড় পড়ে নিছে আসলাম। দেখি আব্বু আসছে। 

আমি গিয়ে আব্বুর পাশে বসলাম।


আমি,,,কেমন আছো আব্বু 


আব্বু,,,আমার খবর কে নেই 


আমি,,আমি ছাড়া কে নিবে আর তুমার তো আর কেও নেই খবর নেওয়ার মতো। 


রুহি,,,আমি আছি আমার আব্বুর জন্য।  আব্বু কখন আসছো তুমি 


আব্বু,,এইতো মা একটু আগে 


রুহি,,,আমার জিনিস গুলো আনছো 


আব্বু,,,,আরে মা আমাকে বলতে হবে। প্রতিদিন তো আনি 


রুহি,,,কোথায় দাও তাহলে 


আব্বু,,,প্রতিদিন যেখানে রাখি ওখানে আছে। 


রুহি,,,ধন্যবাদ আব্বু 


আম্মু,,,বাবা মেয়ের ভালোবাসা শেষ হলে আসো সবাই খেতে 


এরপর খাওয়া দাওয়া শেষ করে রুমে গিয়ে ভাবতেছি। আজকে মিরা আপু  আমার এতো গুলো টাকা মেরে দিলো।কিছু না কিছু করতে হবে আমাকে। না হলে আমি থাকতে পারছি না।


তাই বসে বসে ভাবতে লাগলাম কি করে মিরা আপুর থেকে টাকা কসাবো। আমি মোবাইল নিয়ে এদিক ওদিক টিপতেছি। হঠাৎ একটা আইডিয়া আসলে মাথায়,।আমি মিরা  আপুর আইডিতে ডুকলাম। ওমা ওখানে গিয়েতো মন দিল ফ্রেশ হয়ে গেলো। 


সকালে কলেজে গিয়ে  কি কি করবো সব প্লেন করে গুমিয়ে গেলাম।


সকালে ঘুম থেকে তারাতাডি উঠলাম। উঠলাম। উঠে  ফ্রেশ হয়ে খাবার খেয়ে কলেজে চলে গেলাম। গিয়ে রোহান কে কল দিলাম,,,


রোহানকে কল দিচ্ছি কিন্তু রিসিভ করছে না। সালার ঘুম এখনো ভাঙে নি। 

কিছুহ্মন পর আবার দিলাম। এখন রিসিভ করলো। 


আমি,,,সালা এতহ্মন কোথায় ছিলি 


রোহান,,,ঘুমাচ্ছিলাম।


আমি,,,এতহ্মন 


রোহান,,,ভাই আমার একটা কথা মাথায় আসছে না। 


আমি,,,,কথা না বলে কলেজে আয় সালা


রোহান,৷ তুই আজ এতো তারাতাড়ি ঘুম থেকে কেমনে উঠলি। নাকি কোনো প্লেন আছে। 


আমি,,,সালা তার জন্যইতো তুকে তারাতাডি আসতে বললাম। 


রোহান,,, ওকে আসছি 


আমি,,,ঐ শুন শুন 


রোহান,,,কি 


আমি,,, না খেয়ে আসবি কলেজে তুর জন্য সারপ্রাইজ আছে। 


রোহান,, ওকে। 


আমি,,,দশ মিনিট এর ভিতর আসবি 


রোহান,,,ওকে আসছি 


,,,,,,


আমি কলেজের আরো কয়েকজন ছোট ভাই ডেকে আনলাম। আর ওদের দিয়ে  একটা ফুল স্টিক। আর কিছু ফুল নিয়ে আসলাম। 

আমি সব ফুল গুলো নিয়ে যা করার দরকার সব করলাম। 

এগুলো করতে করতে দেখি রোহান আসলো। 


রোহান,,,কিরে ভাই এতো আয়োজন কার জন্য আমার জন্য নাকি। 


আমি,,,না 


রোহান,,,আমি জানি আমার জন্য। তুই আমাকে এতো ভালোবাসিস (এটা বলে জড়িয়ে ধরলো) 


আমি,,আরে বেটা ছাড় আমাকে। তুর জন্য না এগুলো 


রোহান,,,তাহলে 


আমি,,,আচ্ছা বলছি শুন। 


কালকে তুই চলে যাওয়ার পর মিরা আপু আর ওনার ফ্রেন্ড সবাই মিলে আমার বারোটা বাজাইছে। 


রোহান,,,মানে কেমনে 


আমি,,,সালা কালকে আমার থেকে আডাই হাজার টাকার মতো ফোসকা খাইছে। তাহলে মনে কর একজনে কয় প্লেট কিভাবে খাইছে 


রোহান,,,হা হা হা, এতোদিনে তুর থেকে কেও টাকা কসাইছে। বাহ বাহ 


আমি,,,সালা আমি মিরা আপুকে ছেড়ে দিবো মনে করছিস নাকি 


রোহান,,,কি করবি তাহলে। 


আমি,,সময় হোক সব জানবি। 


রোহান,,,আচ্ছা প্লেন কি বল এখন। 


আমি,,শুন কালকে রাতে আমি ওনার ফেসবুক আইডিতে গিয়ে দেখলাম ২০ জানুয়ারি ওনার জন্মদিন। আর আমি ভাবছি । ওনাকে অগ্রিম শুভেচ্ছা জানাবো। আর ট্রিট চাইবো। 


রোহান,,,,বন্ধু এতো দিনে তুর মাথায় একটা ভালো বুদ্ধি আসলো। 


আমি,,,তুর কেও থাকলে তাদের ও ডেকে আন। 


রোহান,,,সালা তুর আর আমার মাঝে তপাত কি। তুর যে আছে আমার ও সে আছে। আমার আবার এক্সট্রা বন্ধু কোথায়। 


আমি,,,আরে বলদ কলেজে তুর কোনো মেয়ে ছেলে কাজিন থাকলো তাদের ও ডেকে আন। 


রোহান,,,সালা আমি একাই যথেষ্ট 


আমি,,,বাল,,, তুর দৌড় কতদূর আমি জানি। বকবক না করে কি করবি কর।


রোহান,,,আচ্ছা সবাই রেডিতো 


সবাই,,, রোহান ভাই খুদাহ কিন্তু হেব্বি লাগছে 


আমি,,,ভাই সবাই এমন ভাবে খাবি যেনো মিরা আপুর চোখ উল্টে যাই 


সবাই,,,বলতে হবে না ভাই। 


রোহান,,,আরে সোহান,মিরা আপু আসতেছে 


আমি,,চল সবাই। 


এরপর আমরা সবকিছু নিয়ে মিরা আপুর সামনে হাজির 


ওনি সামনে আসার সাথে সাথে কিছু ফুল ওনার ওপর মারলাম। আর ফুলের স্টিক টা িনার হাতে দিলাম।


আমি,,,Happy birthday apu happy birthday to you. 


সবাই,,,,happy birthday tou you apu. Many many happy returns of the day. 


মিরা,,,আমরা জন্মদিন আজকে নাতো কালকে। 


আমি,,অগ্রিম শুভেচ্ছা জানালাম আপু। 


মিরা,,,ধন্যবাদ সবাইকে। 


এসব দেখে মিরা আপু অবাক।আর অনেক খুশি ও হলো। ওনার ওপর কতো বড় বাঁশ অপেক্ষা করতেছে ওনি নিজে ও জানে না। 


দেখি মিরা আপু চলে যাচ্ছে। আমি দৌড়ে গিয়ে মিরা আপুর সামনে দাডালাম। 


আমি,,,,আপু আপনাকে এতো কষ্ট করে উইস করলাম। আর আপনি শুধু মাএ সস্তা একটা ধন্যবাদ দিলেন। 


মিরা,,,তাহলে। 


সবাই,,,, ট্রিট দিতে হবে আপু আমাদের। 


মিরা,,,কি? আজকে 


সবাই,,,হুম। 


রোহান,,,সকালে না খেয়ে আপনাকে উইস করার জন্য চলে আসছি 


মিরা,,,পরশু দিলে হবে । 


আমি,,আরে চলতো সবাই আমি দিবো তুদের ট্রিট। কিপটা মানুষের থেকে তুরা ট্রিট চাইতে আসলি। 


এটা বলে আমি হাটা দরলাম। দেখি পিছন থেকে মিরা আপু ডাক দিলো। 


মিরা,,ঐ সোহানের বাচ্চা তুই অনেক বকবক করিস না। মাইর পড়লে সব ভুলে যাবি। 


আমি,,যেটা সত্যি সেটাইতো বললাম।আপনার এতো টাকা থাকতে কখনো কি আমাদের ট্রিপ দিছেন। 


মিরা,,,ওকে চল সবাই দেখি তুরা আজ কতো খেতে পারিস। 


আমি,,,এই সবাই চলতো। মন থেকে যদি ট্রিপ দেই তাহলে যাবো। এখন রাগ করে বলতেছে 


মিরা,,,ঐ মন থেকে বলছি চল সবাই। 


আমি,, সত্যি নাকি 


মিরা,,,হুম সত্যি 


আমি,,,ওকে চলেন। 


মিরা আপু সামনে আমরা সবাই পিছনে। 

আমি রোহানের দিকে তাখিয়ে দেখতেছি ও আমার দিকে তাখিয়ে হাসতেছে। 


আমি,,,ভাই হাসিস না তাহলে ধরা পরে যাবো। 


রোহান,,, ভাই তুই হেব্বি রাগ তুলে দিছিস ওনার।


আমি,,,আজ মন ভরে খাবি। 


রোহান,,তা তো খাবোই। 


মিরা,,,ঐ সোহানের বাচ্চা কি বলতেছিস তুই। 


আমি,,কিছু না আপু 


মিরা,,,কিছু না হলে ভালো। এখন চল সবাই সামনের ঐ রেষ্টুরেন্টে। 


আমি,,,আরে আপু ওটাতে ভালো খাবার থাকে না । 


মিরা,,,আমার থেকে তুই ভালো জানিস। 


রোহান,,,সোহান টিক বলতেছে আপু। 


মিরা,,,তাহলে তুরা নিয়ে চল। 


আমি,,আচ্ছা আসেন। 


আমি আমার পরিচিত একটা দোকানে নিয়ে গেলাম। ওখানে  গিয়ে দেখি  মিরা আপুর ফ্রেন্ডরা আছে। আমিতো ওদের দেখে আরো খুশি। কারন আজকে শুদে আসলে সব একসাথে নিবো। সবাইকে এক সাথে পেয়েতো আমার খুশি আরো বেড়ে গেলো। তবে মুখটা কালো করে আছি৷ যেনো আনার প্লেন বুঝতে না পারে,, 


আমার সবাই। এক টেবিলে দুইজন করে। চারটি টেবিলে বসলাম। 


আমি,,,আপু খাবার অর্ডার দেই। 


মিরা,,না আমি দিবো। 


আমি,,,আরে আপু এখানে কি খাবার ভালো তা আমি জানি। তাই বলতেছি। 


মিরা,,,ওকে তুই দে তাহলে। 


আমি,,,আপনি আপনার ফ্রেন্ডদের সাথে গিয়ে বসেন 


মিরা,,,কোথায় আমার ফ্রেন্ড আবার


আমি,,,ঐ যে আমাদের দুই টেবিল এর পর দেখেন। 


মিরা,,,সব কুওিদের পাইছি আমি। আমাকে বলছে ওরা বেড়াতে গেছে। 


আমি,,,আপনি ওদের কাছে যান আপু কথা বলে আসেন 


মিরা,,ওকে। 


এরপর আমার এক ফ্রেন্ড কে ডাকলাম। 


আমি,,কেমন আছিস বন্ধু 


রাহুল,,,ভালো তুই 


আমি,,বন্ধু তুদের হোটেলে যা খাবার আছে আমার এই চারটি টেবিলে দিয়ে দে। 


রাহুল,,,এতো গুলো কেমনে খাবি 


আমি,,তুকে চিন্তা করতে হবে না এসব পড়ে বলবে তুকে। এখন যেটা বলছি ওটা কর। 


রাহুল,,আচ্ছা দিচ্ছি বস তুরা। 


এরপর রাহুল গিয়ে এক এক করে নিয়ে আসতে লাগলো। সব নিয়ে আসার পর দেখি। কোনো টেবিলে  একটা বাটি রাখার মতো ও যাইগা নেই।


আমি,,,এই সবাই খাওয়া শুরু কর। কেও কারো দিকে তাকাবি না। যদি লাগে রাহুলকে বলবি 


সবাই,,, ওকে। 


এদিকে মিরা আপুর ওনার ফ্রেন্ডদের সাথে কথা বলা শেষে আমাদের সামনে এসে ওনার চোখ কপালে উঠে গেলো। আমার দিকে তাখিয়ে আছে। 


আমি এদিক ওদিক না তাখিয়ে খাচ্ছি।


সবার খাওয়া শেষে চেয়ার হেলান দিয়ে বসে আছি। 


আর এদিকে মিরা আপু ওনার ফ্রেন্ড রিমি আর সুমি আমাদের দিকে রাগি চোখে তাখিয়ে আছে। 


আমি,,,,এরপর রাহুলকে বিল আনতে বললাম,,, 


রাহুল বিল আমাকে দিতে আসলে। 


আমি,,,আরে বন্ধু বিল মিরা আপু দিবে। ওনি আমাদের আজকে ট্রিপ দিছে। 


মিরা আপু কতো টাকা আসছে তা দেখে।,, ওনি আমার দিকে হাত মুষ্টি বদ্ধ করে মারতে আসছে। 


এরপর আমি যেটা বললাম। তা শুনে রিমি আপু আর সুমি আপু মারতে আসলো। 


,,


চলব,,,,


,,,

(ভুল-ত্রুটিগুলো হ্মমার চোখে দেখবেন)

Comments

Popular posts from this blog

সিনিয়র গুন্ডি মেয়ে:১

সিনিয়র গুন্ডি মেয়ে:৭

সিনিয়র গুন্ডি মেয়ে:৬